চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন ফায়ারম্যান রানা মিয়া (২২)। গত শনিবার রাতে আগুন নেভাতে গিয়ে নিখোঁজ হন রানা। তবে রানার এ আত্মত্যাগের বিষয়টি জানে না তার মা রেনু বেগম ও ছোট ভাই সাজেদুল মিয়া।

রোববার (৫ জুন) দুপুরে রানার মরদেহ শনাক্ত করে তার ভগ্নিপতি বিজিবি সদস্য রাসেল শেখ। রানার বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম গ্রামে।

জানা গেছে, রানার বাবা পান্নু মিয়া ঢাকায় থাকেন। রানারা তিন ভাই-বোন। তার ছোট এক ভাই সাজেদুল মিয়া আর বন্যা নামে এক বোন আছে। তার ছোট ভাই আর মা জানে না রানা মিয়া আগুন নেভাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। 

গত বৃহস্পতিবার রানা বাড়ি এসেছিল। তাদের মূল বাড়ি শিবালয় উপজেলার তেওতা এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে রানারা তাদের নানা বাড়ি নবগ্রামে থাকে। গ্রামে এলে বিভিন্ন সামাজিক কাজও করত সে। রানার লাশ শনাক্ত হওয়ার পর তার মামা ইউসুফ আলী লাশ আনতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গেছেন।

শিবালয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন আলাল জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে রানা মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা এলাকার সকলেই শোকাহত।
 
রানার ভগ্নিপতি বিজিবি সদস্য রাসেল শেখ নিশ্চিত করে জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে যে কয়জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে রানা মিয়া রয়েছে। রানা মিয়া ২০২০ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। চট্টগ্রামের কর্মীরা ফায়ার স্টেশনের কর্মরত ছিল। রোববার(৫ জুন) দুপুরে রানার লাশ শনাক্ত করি। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে রানার লাশ মানিকগঞ্জে নিয়ে যাব।

শিবালয় থানা পুলিশের ওসি মো. শাহিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য চট্টগ্রামে সীতাকুন্ডে নিহত হয়েছেন। যার বাড়ি শিবালয়ের নবগ্রামে। শিবালয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর কর্মকর্তা মজিবুর রহমান আমাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত  করেছেন।

সোহেল হোসেন/এমএএস