টাঙ্গাইলের বাসাইলে ম‌নিরুজ্জামান না‌মে এক ব‌্যবসায়ী‌কে হত‌্যার দায়ে তার ভায়রাকে আমৃত‌্যু কারাদণ্ড ও চারজন‌কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়েছে। এছাড়াও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেক‌কে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদ‌ণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় দেন। 

আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মো. শামছু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউলের স্ত্রী আলো বেগম, বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, যশিহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রেজভী ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মনিরুল ইসলাম খান জানান, বাসাইলের কাউলজানি গ্রামের আবু বক্কর ভুইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভুইয়া ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। তিন দিন পর পার্শ্ববর্তী মহেশখালী গ্রামের জমির আইল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের গায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু বক্কর ভুইয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে এই হত্যার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের ভায়রা রেজাউল ইসলাম, স্ত্রীর বড় বোন আলো বেগমসহ দ‌ণ্ডপ্রাপ্তত‌দের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসাইল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল দত্ত ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দ‌ণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আলমগীর, আলো বেগম ও লাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দ‌ণ্ডপ্রাপ্ত  রেজাউল ও রেজভী জামিনে মুক্ত হওয়ার পর পলাতক রয়েছেন।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর