নিহত মা রুবিয়া বেগম, মেয়ে জান্নাতুল মাহা ও ছেলে তাহসান

সিলেটে সৎ মা, ভাই ও বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক আহবাব হোসেন ও তার মা সুলতানা বেগম রুমিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহত রুবিয়া বেগমের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নগরীর শাহপরান থানায় এ মামলা করেন। 

আসামি সুলতানা বেগম রুমি বিয়ানীবাজার থানার আষ্টঘরী গ্রামের আবদাল হোসেনের প্রথম স্ত্রী। আর আহবাব হোসেন তাদের ছেলে। নিহত রুবিয়া বেগম আবদাল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। 

শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বহর এলাকার মীর মহল্লা গ্রামের ৯ নম্বর বাসায় আহবাব হোসেন তার সৎ মা রুবিয়া বেগম (৩০), বোন জান্নাতুল মাহা (৯) ও ভাই তাহসানকে (৭) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে আহবাবকে আটক করে পুলিশ। 

মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই-তিন মাস আগে আমার বোন আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল তার সৎ ছেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করে। তার এই কাজে সতীন সুলতানা বেগম রুমি প্ররোচনা দিত। চার মাস আগে আহবাব তার বাবাকে দোকানের কাজে সহযোগিতার জন্য সিলেটে আসে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সে বাসায় ফেরে। রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বোন রুবিয়া বেগম, ভাগনি জান্নাতুল মাহা ও ভাগনে তাহসান হোসেন খানের ছুরিকাঘাত ও খুন্তি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ বাসায় আসেন। এরই মধ্যে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে বিছনায় আগুন ধরিয়ে দেয় আহবাব। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হাসাপতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আমার বোন ও ভাগনি মাহাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাগনে তাহসানেরও মৃত্যু হয়। 

শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, সৎ মা ও ভাই-বোনকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন আহবাব। ঘটনাস্থল থেকে আহবাবকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তুহিন আহমদ/আরএআর