বর-কনের সঙ্গে লাখাই উপজেলা চেয়ারম‌্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ

জাকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন। বিয়ের গেট, প্যান্ডেল থেকে শুরু করে আছে কয়েকশ মানুষের ভূরিভোজের আয়োজন। দেখে বোঝার উপায় নেই যাদের জন্য এ রকম আয়োজন সেই বর-কনের কেউই বাড়ির নিকট আত্মীয় নয়। পিতৃহীন গৃহকর্মীর এ রকম ধুমধাম বিয়ের আয়োজন করে নজির সৃষ্টি করলেন একজন উপজেলা চেয়ারম্যান। 

এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের লাখাইয়ে। লাখাই উপজেলা চেয়ারম‌্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ পিতৃহীন গৃহকর্মীর ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে প্রকাশ হলে প্রসংশায় ভাসছেন তিনি। অনেকেই এটিকে মানবিকতার দৃষ্টান্ত বলেছেন।

পেশায় একজন আইনজীবী হলেও মূলত তিনি একজন রাজনীতিবীদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ৩৫ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একাধারে ১৮ বছরের জনপ্রতিনিধি হয়ে দুখী মানুষের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছেন তিনি । জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করে মানুষের মন জয় করে চলেছেন।

এমনই এক অনন্য আয়োজন ছিল পিতৃহারা দুটি অসহায় পরিবারের বর কনের বিয়ের অনুষ্ঠান। বর উপজেলার করাব গ্রামের মৃত আফরোজ মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (২৫) আর কনে পূর্ব বুল্লা গ্রামের মৃত অনু মিয়ার মেয়ে জোনাকি (১৯)। 
বৃহ্স্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব গ্রামে আয়োজন করেন তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান।

শুধুমাত্র বিয়ের অনুষ্ঠানই নয়, নবদম্পতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দে তৈরি করে দেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। এছাড়া ব্যক্তিগত তহবিল হতে বরের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নতুন ইজিবাইকসহ ব্যবহার্য যাবতীয় আসবাবপত্র বিয়েতে উপহার হিসেবে দেন তিনি।

এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দুটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি। কনে জোনাকি দীর্ঘদিন ধরে বাসার গৃহকর্মী হিসেবে পরিবারের একজন হয়ে উঠেছিল। পাশাপাশি বর তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা। বর-কনের সংসার জীবনে স্বাবলম্বী হতে ব্যক্তি উদ্যোগে নতুন ইজিবাইক কিনে দিয়েছি।

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এসপি