পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় আসামি ছিনিয়ে আনতে মহিপুর থানাভবন ঘেরাও করে তিন শতাধিক মানুষ। এ সময় থানা ঘেরাওকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্যও আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল জলিল ঘরামীর ছোট ভাই মো. খলিল ঘরামীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন সমর্থক বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আবুল হোসেন কাজীর সমর্থক কবির মোল্লাকে মারধর করে। বর্তমানে কবির মোল্লা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। 

এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে আজ দুপুরে খলিল ঘরামীকে প্রধান আসামি করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান আসামি খলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করে। পরে আব্দুল জলিল ঘরামী থানায় গিয়ে তার ভাই খলিল ঘরামীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তার সমর্থিত লোকজনকে থানা ঘেরাও করার নির্দেশ দেন।

পরে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ৩ শতাধিক মানুষ থানার সামনে জড়ো হয়ে থানা ভবন ঘেরাও করেন। পুলিশ বার বার তাদের অনুরোধ করলেও ঘেরাওকারীরা স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ঘেরাওকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। 

পরবর্তীতে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে ঘেরাওকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের নারী সদস্য নাহার, এসআই আব্দুল হালিম, সদস্য ওবায়দুল ও মিলন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এসআই আব্দুল হালিমকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘেরাওকারীদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। 

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর তার ভাইয়ের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। 

আজ দুপুর থেকে ঘেরাও করে রাখলেও বিকেল পর্যন্ত তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশ তাদের বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

কাজী সাঈদ/আরআই