সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিটুল

ভাতিজিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে মিজানুর রহমান মিটুল নামে এক সাংবাদিককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তার ওপর হামলা করা হয়। 

আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিটুল দৈনিক যায়যায়দিন এবং এশিয়ান টেলিভিশনের কাউনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি। এছাড়াও তিনি স্থানীয় দৈনিক আমাদের প্রতিদিনে উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিটুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাতিজিকে প্রায়ই মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেয়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পথ আগলে উত্ত্যক্ত করেন মধ্যপাড়া মালিয়াটারী গ্রামের হবু মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান। এ বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পারভেজসহ বন্ধুরা। 

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিক মিটুলের ভাতিজা কাঁকন রাস্তায় পারভেজ হাসানের দেখা পেয়ে বোনকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে তাদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে জানিয়ে কোনো বিশৃঙ্খালা না করার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁকনকে মারপিট করেন পারভেজ। এ সময় সাংবাদিক মিটুল ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে তাকেও শারীরিক লাঞ্ছিত করেন পারভেজ ও তার বন্ধুরা। পরে আরও ২০-২৫ জন যুবককে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেন পারভেজ।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিক মিটুল ও তার ছেলে মাহাবুব বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মসজিদ মোড়ে পারভেজ, মুকুল, আনোয়ারুল, সুমন, নাজিরসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সাংবাদিক মিটুলের ওপর হামলা চালায়। তার হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ওই যুবকেরা মিটুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা ভাঙচুর করেন।

এদিকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিটুলের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রংপুর ও কাউনিয়ায় সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর