কুমিল্লায় ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে বেঁচে যাওয়া বেবী বেগম নামক সেই নারীর থেঁতলে যাওয়া পা কেটে ফেলা হয়েছে। সুস্থ হলে লাগানো হবে কৃত্রিম পা।

রোববার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া আক্তার তানিয়া।

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার ক্ষতিগ্রস্ত পা কাটা হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। তিনি সুস্থ হওয়ার পর সরকারি খরচে কৃত্রিম পা লাগানো হবে।

আহত বেবীর ছোট ভাই মো. হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, নগরীর আড়াইওড়া এলাকার জামাল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় বেবীর। বছর দুয়েক আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। শোকে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন বেবী বেগম। বেবীর মানসিক সমস্যা থাকায় এমনটি করেছেন বলে জানান তার ছোট ভাই হাসান।

প্রসঙ্গগত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যান বেবী বেগম নামের ৩৫ বছর বয়সী এক নারী। উপস্থিত অনেকেই ধারণা করেছিলেন তিনি হয়তো ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। কিন্তু ট্রেন চলে যাওয়ার পর সবাই তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসকরা তার পা কাটার সিদ্ধান্ত নেন।

পরে ঝাঁপ দেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম অভিমুখে মহানগর প্রভাতী ট্রেন গতি তোলে। সে সময় বোরকা পরা এক নারী রেললাইনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে যান। ট্রেনটি ওই নারীকে চাপা দিয়ে চলে যায়।

বেবী বেগম কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার মৃত ইয়াকুব খানের মেয়ে। মো. নেওয়াজ (৬) নামে তার একটি সন্তান রয়েছে।

এনএ