প্রতারক চক্রকে আটক করে পুলিশ

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডিটেকটিভ নিউজ সোসাইটি নামের ভুঁইফোড় একটি সংগঠনের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেদের একাধারে মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নাটোর জেলায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের হাসপাতাল রোডের মেমোরি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন খুলনার কোতোয়ালি থানার সিরাজুল ইসলাম, খানজাহান থানার আতিকুর রহমান, মুন্সিগঞ্জের গণকপাড়ার মনিরুজ্জামান, ঝালকাঠির নলছিটির রায়পুরের আরিফুল ইসলাম নয়ন ও ঢাকার রামপুরার মাহাবুব আলম খান।

মেমোরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক তৌকির রহমান তনু জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি গাড়ি নিয়ে পাঁচজন ব্যক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করেন। ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডিটেকটিভ নিউজ সোসাইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড তাদের গলায় ঝোলানো ছিল। একজন ছিলেন, যার কোনো কার্ড ছিল না। তারা কার্ডবিহীন ওই ব্যক্তিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এবং এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপারে বিভিন্ন আপত্তিকর অভিযোগ করেন।

এ সময় তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানান। তবে কথার এক পর্যায়ে তারা টাকা দাবি করেন এবং টাকা দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু তাদের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তাদের কাছে প্রতারণার শিকার লালপুরের গোপালপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা।

নাটোর সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটকরা প্রতারক। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কখনো সাংবাদিক বা কখনো মানবাধিকার কর্মী আবার কখনো ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি করেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তাপস কুমার/এমএএস/এনএ