একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের শ্রদ্ধাঞ্জলি
রংপুরে একুশের প্রথম প্রহরে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে রাত ১২টা ১ মিনিটে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সর্বস্তরের মানুষ।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসা হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। শহীদ মিনার চত্বরসহ আশপাশের সড়কে নামে মানুষের ঢল। প্রথম প্রহরে শহীদ মিনার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ফুলে শুরু হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন।
বিজ্ঞাপন
রাত ১২টা এক মিনিট থেকে ভাষাসৈনিক পরিবার, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানমসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী) ও জাতীয় শ্রমিক লীগ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
পরে রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ভিডিও জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিটি প্রেসক্লাব, বাংলার চোখসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাতের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ফুলে ভরে উঠে শহীদ মিনার।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপস্থিত ভাষাসৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর