কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুলছাত্রী প্রেমিকার (১৪) সঙ্গে কথা বলতে না পেরে শিক্ষকদের সামনেই নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চঞ্চল হোসেন (২৩) নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই যুবক বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, তিনি বিদ্যালয়ে আসার আগে বহিরাগত একটি ছেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রী বিষয়টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনকে জানালে তিনি ছেলেটিকে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে উভয়ের অভিভাবকদের খবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিছু সময় পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ে এসে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে  ওই যুবক তার কোমর থেকে ছুরি বের করে পরপর দুইবার নিজের পেটে আঘাত করেন। 

নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ছেলেটি বারবার বলছিল আমি ওকে ভালোবাসি। একটু কথা বলেই চলে যাব।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক আহত যুবককে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওই যুবক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত যুবক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের পান্না শেখের ছেলে।

এ বিষয়ে আহত চঞ্চল হোসেন ও ছাত্রীর পরিবারের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম জানান, দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন যুবক এসে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আহত যুবককে তার অভিভাবকদের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ছেলেটি প্রেম করতে এসেছিল। প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

রাজু আহমেদ/আরএআর