বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী সাইদ বিন জামিলকে মৌলভীবাজারে দাফন
বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী দুবাইয়ের খরফাক্কান মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা সাইদ বিন জামিলকে মৌলভীবাজারের জামেয়া রাহমানিয়া মাদরাসায় দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে মৌলভীবাজার টাউন ঈদগাহ ময়দানে হাফেজ মাওলানা সাইদ বিন জামিল এর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মৌলভীবাজার শহরতলীর মোস্তফাপুর এলাকায় তারই প্রতিষ্ঠিত জামেয়া রাহমানিয়া মাদরাসায় তাকে দাফন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানাজার পূর্বে বক্তব্য রাখেন জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী।
তিনি বলেন, যার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রিয় জামেয়া দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের কৃতি সন্তান এভাবে হঠাৎ চলে যাবে এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ঈমান আমলের দিক দিয়ে আমার ছেলে আমার চেয়েও এগিয়ে আছে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ, এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কি হতে পারে। তার অনেক দায়িত্ব বাবাকে দিয়ে গেছে। আমি যেন সেগুলো পালন করতে পারি।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে চিকিৎসা শেষে, আরব আমিরাতের আল আইন আল তাওয়াম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৬ জুলাই রাত ২টা ১৫মিনিটে দুবাইয়ের আল আইন শহরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মঙ্গলবার বিমানের একটি ফ্লাইটে তার লাশ দেশে আনা হয়। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল গভীর শোক জানিয়েছে।
ক্বারি হাফেজ সাইয়েদ বিন জামিল শারজাহর খোর ফাক্কান মসজিদ ছাড়াও রমজানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন জামে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াতেন।
শুদ্ধ ও মধুর তেলাওয়াতের কারণে রমজানে ইফতারের সময় দেশটির রেডিওতে তার কুরআন তেলাওয়াত প্রচার করা হতো। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শারজাহ টেলিভিশনে তার কুরআন তেলাওয়াত ও নামাজ সম্প্রচার করা হতো।
সাইদ বিন জামিল মৌলভীবাজার জেলার জামেয়া রাহমানিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা জামিল আহমদ আনসারীর বড় ছেলে। প্রখ্যাত ক্বারি হিসেবে তিনি মুসলিম বিশ্বে সমাদৃত ছিলেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ ক্বারী হয়েছেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও চার সন্তানসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওমর ফারুক নাঈম/এমএএম