চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে রাব্বানী (৫৫) হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় নিহতের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে রাব্বানীর দ্বিতীয় স্ত্রী সেরিনা বেগম এ বিচার দাবি করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৫ মার্চ আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী মাবিয়া বেগম তার সহযোগীদের নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলা টিপে হত্যা করেছে আমার স্বামীকে। এতে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় নাসিরুল ও শফিকুলসহ কয়েকজন। তাদের সঙ্গে মাবিয়া পরকীয়ায় জড়িত। পরকীয়ার ঘটনা আমার স্বামী রাব্বানী জেনে যাওয়ার তাকে পরিপল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, বিচার চেয়ে পুলিশের কাছে গেলেও মামলা গ্রহণ না করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি মনঃপূত না হওয়ায় তা খারিজ করে দেন। এখন আমি উচ্চ আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।  

সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তির প্রথম স্ত্রীর ছেলে সাগর ও নিকট আত্মীয় রহমতসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রাব্বানীর প্রথম স্ত্রী মাবিয়া বেগম পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কার বলেন, ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই প্রথম স্ত্রী পলাতক হয়েছেন। রাব্বানিকে হত্যা করা হয়েছে নাকি মারা গেছে, তা নিশ্চিত নয়।  

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় জেরিনা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছিলেন শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কোনো অনিযোগ নিয়ে আসেননি তিনি।  

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১৫ মার্চ রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার বিসুক্ষেত্র গ্রামের নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় রাব্বানীর।

জাহাঙ্গীর আলম/আরআই