ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অস্ত্রের মুখে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেনকে (৩৫) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার আগে বাবুল  হোসেন ভাঙ্গা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, নড়াইলের লোহাগড়া থানার কামঠানা গ্রামের অজিৎ বিশ্বাসের ছেলে পাপ্পু বিশ্বাসের যশোর জেলা শহরে স্বর্ণের দোকান রয়েছে। গত ৭ জুলাই রাতে ভাঙ্গা বাজারের সোনার তরী জুয়েলার্সের মালিক পলাশ বণিকসহ কয়েক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১১০ ভরি স্বর্ণ কেনেন পাপ্পু বিশ্বাস। স্বর্ণ কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা বাজারেই তার গতিরোধ করেন এএসআই মো. বাবুল হোসেন ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান। এ সময় পুলিশ সদস্য পাপ্পুর কাছে থাকা স্বর্ণ অবৈধ বলে ছিনিয়ে নেন। পাপ্পু তার ব্যবসায়ীক কাগজপত্র দেখালেও ৪০ ভরি স্বর্ণ রেখে বাকি স্বর্ণ ওই ব্যবসায়ীকে ফেরত দেন এএসআই বাবুল। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ব্যবসায়ী পাপ্পুকে হুমকি দেন। ঘটনার ছয় দিন পর পাপ্পু বিশ্বাস ভাঙ্গা থানায় বুধবার (১৩ জুলাই) মামলা করেন। মামলায় এএসআই বাবুল ও তার সহযোগীকে আসামি করা হয়।  

ওইদিনই এএসআই বাবুলসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় ভাঙ্গা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এএস আই বাবুলের ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া ৪০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহমিদা কাদের চৌধুরী বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়োর পর এএসআই বাবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বিভাগীয় তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার হওয়া এএসআই বাবুল হোসেনকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

জহির হোসেন/আরএআর