সাভারে পিকআপ সংঘর্ষ

সাভারে পিকআপে করে মরদেহ নিয়ে এক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে অবশেষে হাইওয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন চালক সোহেল। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ। এ ছাড়া পৃথক স্থান থেকে নারীসহ আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা সবাই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাভারের সালেহপুর এলাকায় পিকআপ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে চালককে আটক করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর ও ধামরাইয়ের বাথুলী বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকা থেকে বাকি দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসব তথ্য দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম।

পুলিশ জানায়, নিহতের একজন হলেন রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার কিসমতমেনানগর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে কাওসার (২২)। তিনিও পেশায় পিকআপচালক ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পিকআপচালক সোহেল মিয়াকে (২২) আটক করা হয়। তিনি দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ইসলামপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের কিশোরীনগর এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ বিশ্বাস (২৮)। আরেকজন নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে গরু নিয়ে সাভারের দিকে আসছিলেন সোহেল। পথে কাওসার সাভারে আসার জন্য ওই পিকআপে ওঠেন। গভীর রাতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারের সালেহপুর এলাকায় পৌঁছালে সোহেল ঘুমের ঘোরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেন।

এ সময় কাওসার গুরুতর আহত হলেও হাসপাতালে না নিয়ে সাভারে প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরে তাকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সোহেল। ততক্ষণে কাওসার মারা যান। পরে খবর পেয়ে সাভার হাইওয়ে পুলিশ পিকআপটি জব্দ করে সোহেলকে আটক করে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

অন্যদিক ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় অজ্ঞাত পরিবহনের চাপায় আরও এক নারী (৫০) নিহত হয়েছেন। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলী বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে আজাদ বিশ্বাস (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করেছে পুলিশ। নিহত আজাদ বিশ্বাস ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের কিশোরীনগর এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ