সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি দিব্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দিব্য সরকার নগরীর কাজলশাহ ৫২ নম্বর বাসার রমনীকান্ত সরকারের ছেলে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ।

এর আগে সোমবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলার অপর দুই আসামি রাব্বী ও এহসানকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি জায়গা আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১২টা থেকে আমরা অভিযান শুরু করে আনুমানিক আধা ঘণ্টা পরে ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রধান আসামি দিব্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য আসামিদের আমরা অচিরেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। 

উল্লেখ্য ,গত সোমবার রাতে দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আন্দোলনে নামেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের হয়ে সেবা বন্ধ রেখে হাসপাতাল ছেড়ে রাস্তায় নামেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

ঘটনার পর হামলায় জড়িত দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল ও কলেজ প্রশাসন দুটি মামলা করে। দুটি মামলায় এজাহারনামীয় আটজনকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত রাখা হয়। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন, কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসে তাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিলেও অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ শিক্ষার্থীরা শর্ত সাপেক্ষে বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ২টায় ২০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত  আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন।

রনি/এসকেডি