১৫ বছর আগে সংঘবদ্ধভাবে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মমিনুল ইসলাম বাবুকে (৪০) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর লালবাগ রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার মমিনুল ইসলাম বাবু রংপুর নগরীর কেডিসি রোড এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২৬ মে রংপুর নগরীর তাজহাটে বক্ষব্যধি (টিবি) হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে খামারপাড়া এলাকায় একটি গাছের নিচে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আসাদুল নামে একজনকে আটক করে। এ সময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ আসাদুলকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সকল ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পান তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলাটির তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামি মমিনুল ইসলাম বাবুসহ আসাদুল ইসলাম ও রঞ্জু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশির্ট দাখিল করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে ১২ জন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য দেন। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আসাদুল ও রঞ্জু মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি মমিনুল ইসলাম বাবু পলাতক ছিলেন।

কৌশলে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকা মমিনুল ইসলাম বাবুর নামে ধর্ষণ মামলা ছাড়াও দুটি ডাকাতির প্রস্তুতি, দুটি চুরি এবং একটি মাদক মামালাসহ পৃথক পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।  

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর