জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে খুলনা বিভাগের ১০০টি স্কুলে ৪ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করেছে বিকাশ। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে স্কুলের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের হাতে বইগুলো বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউণ্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারপার্সন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মাটি, মানুষ, জলকে ভালোবাসতেন। 

শ্রমিক-জনতার অধিকার আদায়ে ভুমিকা রেখেছেন। মানুষের প্রতি দরদ ছিল তার। বঙ্গবন্ধুর মেধা ছিল। তিনি না থাকলে স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। বাঙালির স্বাধীনতা এবং অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন, তাকে বার বার জেলে যেতে হয়েছে। তার আদর্শে আদর্শিত হতে হবে।

তিনি বলেন, বই পড়া মানে হচ্ছে মানুষের চোখের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া। তোমরা যত বই পড়বে, তত তোমাদের হৃদয় প্রশস্ত হবে। বিশ্বমানের নাগরিক হবে। আমরা একটা বুদ্ধিদৃপ্ত জাতি গঠন করতে চাই। জ্ঞান চর্চার জন্য বই পড়তে হবে। বেশি বেশি বই পড়ার বিকল্প নেই। বিকাশ সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে এ বিষয়ে সহাযোগিতা করছে।

মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সারা দেশের ৫০০টি স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এর আগে ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্কুলে এই গ্রাফিক নভেল বিতরণ করে বিকাশ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। বক্তৃতা করেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আট খন্ডে প্রকাশ করেছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’। সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের যুৎসই সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে এই গ্রাফিক নভেলে। বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় সেগুলো স্কুলগুলোতে বিতরণ করছে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। এর পরবর্তী খণ্ডগুলো প্রকাশিত হলে সেগুলোও একইভাবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক স্কুলে পৌঁছে দেবে বিকাশ।

এ পর্যায়ে খুলনার ১০০টি স্কুলের প্রতিটিকে ৫ সেট করে বই দেওয়া হয়েছে। ফলে একই সঙ্গে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবেন।

প্রসঙ্গত, যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বিকাশ বই বিতরণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। আগামী প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ। এ পর্যন্ত ২৯০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২,৫৩,৬০০ বই দিয়েছে বিকাশ, যা থেকে ২৬ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছেন।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই