পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ আগস্ট) ভোরে সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বালিহারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. জাহারুল ইসলাম উজির (৪৫) নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বালিহারী গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মো. জাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মুর্শিদা আক্তারের (৩৭) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। প্রায় জাহারুল মুর্শিদাকে মারধর করতেন। শুক্রবার ভোরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে মারধরের এক পর্যায়ে মুর্শিদা দা দিয়ে জাহারুলের দুই হাতের কবজি কেটে দেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে আহত অবস্থায় নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাহারুলের চাচা হারুন-অর-রশিদ জানান, আজ ভোরে হঠাৎ তাদের কলহ শুরু হয়। এ সময় মুর্শিদা দা দিয়ে জাহারুলের হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমরা জাহারুলের চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসে।

নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় জাহারুলের স্ত্রী মুর্শিদাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. আবীর হাসান/এনএ