মুসতাক আহমেদ

কাশিমপুর কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে প্রধান করে দুই সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অপর সদস্য হলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় লেখক মুশতাক আহমেদ গ্রেপ্তারের পর ১০ মাস ধরে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারেই মারা যান তিনি

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মুশতাক আহমেদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

মুশতাকের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিতে মুশতাক আহমেদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ মো. বায়েজীদ বলেন, কারাগারের পক্ষ থেকে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় জিএমপিরর জয়দেবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন বলেন, মৃত অবস্থায় মুশতাক আহমেদকে হাসপাতালে আনা হয়। গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরির পর বিস্তারিত বলা যাবে।

কারা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মুশতাককে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এএম