পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি

ওরস-ফেরত যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও ঘাট সমস্যার কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। ফলে যাত্রীবাহী বাসকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এবং পণ্যবাহী ট্রাককে দিনের পর দিন নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

সরেজমিনে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক এলাকায় দেখা যায়, গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীমুখী কল্যাণপুর নতুন রাস্তা পর্যন্ত আটকে আছে কয়েক শ পণ্যবাহী ট্রাক।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস নদী পার হওয়ার জন্য ফেরির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

এ সময় সিরিয়ালে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে সকালে এ রুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের কাছে আটকা পড়া ঈগল পরিবহনের যাত্রী রফিক মিয়া বলেন, রাত তিনটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকে আছি। এদিকে পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে আছি। কখন যে ফেরি পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছাব, তা বলতে পারছি না।

অপেক্ষায় যাত্রীবাহী বাস

কয়েকজন ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট নিয়ে এখানকার কর্তৃপক্ষ খুবই উদাসীন থাকে। যে কারণে ছয়টি ফেরিঘাটের মধ্যে মাত্র তিনটি ফেরিঘাট সচল আছে। এ ছাড়া ফেরিতে ওঠার সংযোগ সড়কের অবস্থাও নাজেহাল। ফলে ফেরিঘাটে যানজট লেগেই থাকে। তাদের দাবি, পদ্মা সেতু হয়ে গেলে অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আবদুল্লাহ রনি ঢাকা পোস্টকে জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট এলাকায় যানবাহনগুলো আটকে দেওয়া হয়। আজও সে চাপ আছে। দৌলতিদয়া প্রান্তের সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি সিরিয়ালে আছে।

তিনি আরও জানান, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী বিভিন্ন গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরি পার করায় গোয়ালন্দ মোড়ে পণ্যবাহী ওই ট্রাকগুলো সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। তবে আটকে পড়া ওই ট্রাকগুলো শনিবার রাতের মধ্যে ফেরি পার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ