নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী ও ৩ বছরের মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন জিয়ারুল ইসলাম নামে এক যুবক। একই সময় নিজের শাশুড়ি এবং এক বছরের শিশু সন্তানকেও কুপিয়ে আহত করেন জিয়ারুল। পরে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ি নিমোজ খানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

নিহতরা হলেন, জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম (২৫) ও আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার। ঘাতক জিয়ারুল ইসলাম উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার সুমারু মাসুদের ছেলে। তিনি তার শ্বশুরবাড়ি নিমোজ খানার হরতকী তলায় ৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে জিয়ারুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রত্না বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম তার আড়াই বছরের কন্যা সন্তান ইয়াছমিনকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন। এ সময় রত্না বেগমের মা বিলকিস বেগমও তার এক মাস বয়সী নাতীকে কোলে নিয়ে বাড়ির বাইরে হরতকি তলার রাস্তায় আসেন। 

এ সময় জিয়ারুল বাড়ি থেকে ধারালো ছুরি নিয়ে এসে তার শাশুড়ির কোলে থাকা শিশু সন্তানকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন। শাশুড়ি শিশুটিকে আনার জন্য এগিয়ে গেলে জিয়ারুল ছুরি দিয়ে শাশুড়িকে আঘাত করা শুরু করেন। এ সময় শাশুড়ির মুখে ও পিঠে ছুরির আঘাত লাগে। 

এরপর জিয়ারুল তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

পরে একই ছুরি দিয়ে জিয়ারুল তার স্ত্রীকেও হত্যা করেন। 

স্ত্রীকে হত্যার পর জিয়ারুল ছুরিটি তার নিজ পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। তবে তিনি বেঁচে যান।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বিলকিস বেগম, তার নাতি ইয়াছিন ও ঘাতক জিয়ারুলকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ।

শরিফুল ইসলাম/আরআই