বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে আসা মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঠেকাতে শহরের মধ্যে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) ও লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। 

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মহড়া দেন জেলা ছাত্রলীগে নেতা-কর্মীরা।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কর্মসূচির আয়োজন করে। বিএনপির আয়োজিত সেই কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়ে যেন জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর করতে না পারে সে জন্য জেলা ছাত্রলীগ এই মহড়া চালায়। আজ সকাল ১০টার দিকে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্রলীগের মিছিল বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন।

মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ প্রাঙ্গণে ফিরে যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় মিছিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা এবং ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। পুলিশ প্রশাসনের সামনেই প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র হাতে মিছিল করেছে। মিছিল শেষে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণে ফেরার পথে বেশ কয়েকজন সাধারণ লোকজনকে ছাত্রলীগের কর্মীরা মারধরও করেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রদল বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা করেছে। ওদের রাজনীতিটাই হলো সন্ত্রাসী। তারা (বিএনপি) মানুষকে কষ্ট দিবে, দুর্ভোগে ফেলবে এটা কোনোভাবে করতে দিবে না ছাত্রলীগ। বিএনপি যাতে জ্বালাও পোড়াও করতে না পারে তাই ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করার জন্য মিছিলটি করেছে।

ছাত্রলীগের মিছিলে কর্মীদের হাতে ধারালো অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) বা লাঠিসোটা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেলেঞ্জ করে বলছি, ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না। আপনি যেটা বললেন সেটা সম্পূর্ণ ভূয়া। তবে ছাত্রদলের কর্মীরা যখন উল্টা হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন তাদের প্রতিহত করতে হয়তো কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী লাঠিসোটা হাতে নিতে পারে। 

ছাত্রলীগ অস্ত্রের রাজনীতি করে না, ছাত্রলীগ মানুষের জন্য কাজ করে। মিছিলে ছাত্রলীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেয় বলেও জানান  তিনি।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের জানমালের ক্ষতি যেন না হয় সে জন্য আমরা মাঠে ছিলাম। কারণ বিএনপি মারামারি করবে, রাস্তা-ঘাটে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। 

মিছিলে লাঠিসোট বা ধারালো অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমি দেখিনি, জানি না। আমি সামনে ছিলাম, এ রকম কোনো ঘটনা দেখিনি।

সোহেল হোসেন/আরআই