দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সুন্দরবনের করমজলে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১২টি নৌযানে (ট্যুরিস্ট বোড) দর্শনার্থীরা করমজলে পৌঁছেছেন। দীর্ঘদিন পর সুন্দরবনে আসতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা।

ঢাকা থেকে সুন্দরবনে ঘুরতে এসেছেন রাজিব শেখ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় জুলাই মাসে সুন্দরবনে আসার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবন বন্ধ। গতকাল রাতে এসে মোংলা হোটেলে ছিলাম। সকালেই করমজলে আসলাম বন্ধুদের নিয়ে।

মোংলার ট্যুরিস্ট বোড মালিক রুবেল হোসেন বলেন, তিন মাস বেকার ছিলাম। এই সময় যেমন আয় করতে পারিনি, তেমনি হতাশাও কাজ করেছে। এখন সুন্দরবন উন্মুক্ত হয়েছে। আশাকরি দর্শনার্থী আসবে বেশি বেশি, আমাদের আয়ও বাড়বে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রজনন মৌসুম হওয়ায় তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ছিল। এই সময় সুন্দরবনে শুধু দর্শনার্থী নয়, মাছ-গোলপাতা ও মধু আহরণও বন্ধ ছিল। যে কারণে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি নিজেদের মতো বেড়ে উঠেছে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা আসছেন। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১২টি ট্যুরিস্ট বোডে শতাধিক দর্শনার্থী করমজলে এসেছেন। আশা করি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীও বাড়বে।

আগামীকাল শুক্রবার যেহেতু ছুটির দিন, সেক্ষেত্রে আগামীকাল আরও বেশি দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে সুন্দরবনের প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় থেকেই বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় দর্শনার্থীরা আসতে পারেননি। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাবে।

তানজীম আহমেদ/আরআই