প্রায় এক যুগ ধরে গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সোয়া ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই টার্মিনাল। কিন্তু বাসগুলো টার্মিনালে না যাওয়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। নগরজুড়ে বাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় বাড়ছিল যানজট, নাগরিক দুর্ভোগ।

সেই দুর্ভোগ এবার কাটতে যাচ্ছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব বাস নওদাপাড়া টার্মিনাল থেকে গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সব পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি চূড়ান্ত করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

বৈঠকে অংশ নেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান মো. আনওয়ার হোসেন, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মশিউর রহমান, আরডিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ, আরএমপির ডিসি (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি শাহনেওয়াজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটু, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, রাজশাহী জেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

রাসিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে নগরীতে গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে এবং নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে শিরোইল বাস টার্মিনাল নওদাপাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আগামী ১ নভেম্বর থেকে শিরোইল বাস টার্মিনালের পরিবর্তে নওদাপাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল করবে।

বৈঠকে নগরীর অটোরিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) জানিয়েছে, নগরীর নওদাপাড়া এলাকার ৭ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এই টার্মিনাল গড়ে তোলে আরডিএ। ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে এই আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। ৭ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা এই টার্মিনালে একসঙ্গে প্রায় ৫০০টি বাস দাঁড়াতে পারবে।

কথা ছিল রাজশাহী বাইপাস মহাসড়ক ঘেঁষা এই টার্মিনাল থেকে আম চত্বর ঘুরে রাজশাহী-নওগাঁ রুটের গাড়িগুলো চলাচলের। ওই সময় বলা হয়, এখান থেকেই সোজা বাইপাস হয়ে চলে যাবে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের গাড়িগুলো। কিন্তু টার্মিনালটি এতদিন গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসএসএইচ