ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌর বিএনপির বার্ষিক সম্মেলনে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই গ্রুপ। এতে আহত হয়েছেন সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌর এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের নিজ বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, রাজপথের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে প্রায় এক যুগ পর দলীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় ত্রিশাল পৌর বিএনপির বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

পরে বিকেলে নিজ বাসভবনে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন চলাকালে উপস্থিত কাউন্সিলদের সমর্থন বা ভোট ছাড়াই সুপার ফাইভের ব্যক্তিগত রেজুলেশনের ভিত্তিতে সভাপতি পদে আলেক চান দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিলনের নাম প্রস্তাব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন। এতে মুহূর্তেই শুরু হয় হয় হট্টগোল। অন্যান্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিত সমর্থকদের দুই গ্রুপ। 

সংঘর্ষে বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম মিন্টু, আবদুল জলিল, ফুয়াদ, গোলাম মোর্শেদ, ফজলুল হক, রুহুল আমিন, তোফাজ্জল হোসেন ও ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য সাংবাদিক রুকুনুজ্জামান সরকার রাহাতসহ আহত হন ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত সাংবাদিক রুকুনুজ্জামান সরকার রাহাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

পরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও কাউন্সিলররা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিলর তালিকা প্রকাশ না করা ও গোপন কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও সম্মেলনের কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রেজাউল করীম সেলিম। তারা ফের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি ঘোষণার দাবি জানান। 

উবায়দুল হক/আরএআর