রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক কলেজছাত্রী। রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী পুঠিয়া সদর এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন। মেয়র আল মামুন গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, এক বছর পৌরসভায় চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ কর আসছিলেন মেয়র। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট জোর করে তাকে ধর্ষণ করেন মেয়র। সম্প্রতি চাকরি দেবে না এমনকি বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেয়র আল মামুন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে এ বিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী জানান, ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত বছরের ১১ এপ্রিল মেয়র আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন জেলার দুর্গাপুর উপজেলার এক সেবিকা। ধর্ষণে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে ওই সেবিকা সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ১১ এপ্রিল মেয়রের লোকজন তাকে তুলে এনে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই সেবিকাকে মেয়রের চেম্বার থেকে উদ্ধার করেন। পরে ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মেয়রকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় ওই ঘটনা রফাদফা হয়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি