রুবেল হত্যার ঘটনায় আটক চারজন

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকায় অটোরিকশা চালক রুবেল (১৮) হত্যার ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া আকাশের স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কশিশনার মো. জাকির হাসান।  

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। 

নিহত রুবেল নওগাঁর রানীনগর থানার দেবরাগাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি মহানগরের কাশিমপুর ভবানীপুর এলাকায় ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন। 

আটকরা হলেন- বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার বড়তিন কুল গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে আবু জাফর আকাশ (২০), বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম শাকিল (২০), জামালপুরের মেলান্দহ থানার হরিনাপাই গ্রামের মো. আশরাফ মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (২২) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার টিয়ারা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রাশেদ আহমেদ (৪০)। 

সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান জানান, আকাশ ও অটোরিকশা চালক রুবেল একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আকাশের স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে রুবেলের সঙ্গে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আকাশ তার অন্য তিন সহযোগীকে নিয়ে রুবেলকে খুন করে তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেন। 

ঘটনার রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে রুবেলের অটোরিকশায় আকাশ, শাকিল ও ফরহাদ কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় যান। পরে সেখানে তারা রুবেলকে খুন করার পর অটোরিকশা ও ব্যাটারি নিয়ে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কাশিমপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি ক্রেতা রাশেদ ও অন্য তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ব্যাটারি ও হত্যায় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। তবে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার থোয়াই অং প্রু মারমা, কাশিমপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব এ খোদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কাশিমপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জলিল মিয়া জানান, নিহত রুবেল সাভার এলাকার এক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় রুবেল ভবানীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।  

শিহাব খান/আরএআর