মোমেন মিয়াজী (৪৫)। পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ব্যস্ততম রসুলপুর বটতলার খেয়াঘাট এলাকায় রয়েছে তার মোমেন লাইব্রেরি অ্যান্ড স্টেশনারি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওই দোকানের পাশ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তীব্র গরমে মানুষের কষ্ট দেখে তিনি বিনা মূল্যে পানি পান করানোর ব্যবস্থা করেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্লাস্টিক জারে পানি রেখে পথচারীদের তৃষ্ণা নিবারণ করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মোমেন লাইব্রেরি অ্যান্ড স্টেশনারির সামনে রাখা হয়েছে একটি পানির জার। জারের পাশে রাখা আছে গ্লাস। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, কর্মচারী, পথচারীরা জার থেকে পানি নিয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, মোমেন মিয়াজী একজন ভালো মনের মানুষ।  বিনা মূল্যে কয়েক বছর ধরে মানুষের তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন তিনি। এটি এক বাক্যে মহৎ কাজ। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে ছোট ছোট ভালো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কেবল দরকার সদ্বিচ্ছার। এমন একটি মহতী উদ্যোগের জন্য তাকে সাধুবাদ জানান স্থানীয়রা।

ইমামপুর ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের জসিম প্রধান বলেন, আমি প্রায়ই মোমেন ভাইয়ের দোকানের সামনে আসি। দেখি সব বয়সের মানুষ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাখা প্লাস্টিকের জার থেকে পানি পান করছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ যখন এখান থেকে পানি পান করেন, মোমেন ভাই দাঁড়িয়ে দেখেন।

মোমেন মিয়াজী বলেন, গরমে মানুষের অবস্থা কাহিল। বিশেষ করে পথচারী, দিনমজুর, সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে একটু পানি হলে পিপাসা মেটানো যায়, একটু হলেও স্বস্তি লাগে। দোকানে হাফ লিটার পানির দাম ১৫ টাকা। এতে মাত্র দুই গ্লাস পানি হয়। সবাই এই দামে গরমে পানি কিনে খেতে পারে না। তাই মানবিকতা থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি কাজটা করছি।

ব.ম শামীম/এসপি