সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেননি ম্যাজিস্ট্রেট
ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম নির্বাচনে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পর্যবেক্ষক কার্ড সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেরোয়া সিরাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
শহিদুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার।
ঘটনার সময় ভোট পরিদর্শনের জন্য সাংবাদিকরা ওই ভোট কেন্দ্রে যান। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে দিচ্ছিল না। পরে সাংবাদিকরা ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে অনুমতি নিতে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষক কার্ড যাচাই করেন।
বিজ্ঞাপন
অনুমতি চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, আপনাদের পর্যবেক্ষক কার্ড আছে কি? থাকলেও কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। কার্ডে যেভাবে নির্দেশনা রয়েছে, সেটি মানতে হবে।
এদিকে পর্যেবক্ষক কার্ডে সাংবাদিকদের শুধু প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে। ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ নিষেধ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনার ব্যাপারে কোনো বিধি উল্লেখ ছিল না।
ওই কেন্দ্রের কয়েকজন ভোটারের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের এজেন্টরা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। কাউন্সিলরের কয়েকটি ইভিএম বিকল। এ জন্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে শায়েস্তানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান ও মোবারক হোসেন ও দক্ষিণ কেরোয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফরহাফ হোসেন সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন।
তাদের দাবি, সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢোকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষেধ রয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ঢুকলে গাদাগাদি অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সরব ছিল। ফিঙ্গারপ্রিন্টের পরে আওয়ামী লীগের এজেন্টরা কালো পর্দার ভেতরে ঢুকে নৌকার বোতাম টিপে দিচ্ছেন।
পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে রায়পুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৬ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে করছেন ৫৭ জন।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ