নাটোরের সিংড়া উপজেলার সরকারি দপ্তরের সকল কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি হয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই প্রায় শতাধিক ব্যক্তির সরাসরি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

সিংড়া উপজেলার সাধারণ ভোটাররা একের পর এক প্রশ্ন করছেন, সেগুলো শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণ করেন তিনি।

এসময় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দেন সেই নির্দেশ পালন করি। আমৃত্যুকাল জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। যদি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থাকে আমাকে অথবা ১০৬ নম্বরে ফোন করবেন। কোনো সরকারি অফিসে বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অনিয়ন-দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে সিংড়া বাজারের দুলেনা বেগমের চোখের অপারেশন করার ব্যবস্থা করেন। সোনাপুর গ্রামের ফজলুর রহমানে অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি কাঁদা পানির রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে। ভাগনাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিউলী খাতুনকে নিয়োগ দেওয়ার নামে দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন শিক্ষা কর্মকর্তাকে।

শুকাস গ্রামের মুন্জুর আলমের ছেলের চাকরির আশ্বাস দেন। এভাবে প্রায় ৩ ঘণ্টায় শতাধিক ব্যক্তি প্রশ্নের উত্তর দেন ও সমস্যার সমাধান করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম.এম সামিরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান, সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, হাসপাতাল, বিএডিসি, কৃষি, শিক্ষা সহ সকল সরকারী অফিসের দপ্তর প্রধান এবং ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

তাপস কুমার/এমএএস