নারায়ণগঞ্জ থেকে বন্দর যোগাযোগের অন্যতম পথ নবীগঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুন ডুবে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-বন্দরের যোগাযোগে বেড়েছে ভোগান্তি। পন্টুনটিতে আগে থেকে জমে থাকা পানি ও ফেরিতে আগত গাড়ির চাপ সামাল দিতে না পেরে পন্টুনটির এক পাশ ডুবে যায়।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় ওই রুটের নবীগঞ্জ অংশের পন্টুনটি ডুবে যাওয়ায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে 
শ্যালো পাম্প লাগিয়ে পানি সেচ দিয়ে জমে থাকা পানি অপসারণের পর যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ফেরির এক স্টাফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পন্টুনটিতে বেশ কয়েকদিন যাবৎ পানিতে পূর্ণ ছিল। আজ বেলা দেড়টার দিকে একটি মাঝারি সাইজের (৩ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) কাভার্ডভ্যান ফেরিতে উঠতে গেলে ফেরির পন্টুনটি ডুবে যায়। অল্পের জন্য ওই কাভার্ড ভ্যানটি রক্ষা পেলেও ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩ ঘন্টা প্রচেষ্টার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বিষয়টি এর আগে কয়েকবার বলার পরেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা। পরে শ্যালো পাম্প এনে পন্টুনে ঢুকে যাওয়া পানি অপসারণের পর পন্টুনটিকে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়।

ওই ফেরিতে আটকে থাকা নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটির মোটরসাইকেল চালক রাসেল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই ঘণ্টার বেশি হবে আটকে আছি। ফেরি চালক ও স্টাফরা বলছে পন্টুন ঠিক না হলে যাওয়া যাবে না। উনারা এক ঘণ্টার ওপরে সময় নষ্ট করেছে পাম্প যোগার করতে। পাম্প লাগিয়েছে, পানি সেচ চলছে। আরও কতক্ষণ অপেক্ষা করা লাগে কে জানে?

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ন সচিব মাসুদ কামালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এতে কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা গাফলতি আছে কিনা এমন প্রশ্ন শুনে তিনি নামাজের কথা বলে কোনো মন্তব্য না করে ফোন রেখে দেন।

আবির শিকদার/এমএএস