বগুড়ায় মেয়র হলেন বিএনপির বাদশা, ৩য় স্থানে আ.লীগ প্রার্থী
বিএনপির প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশা নির্বাচিত
ইভিএম-এ দেশের সর্ববৃহৎ বগুড়া পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ইভিএম ভীতি কাটিয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
বগুড়া পৌর নির্বাচনে ১১৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশা। তিনি ৮২ হাজার ২১৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ জগ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯০ ভোট। ৩য় স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু ওবায়দুল হাসান। তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৯ ভোট। হাতপাখা মার্কায় আব্দুল মতিন পেয়েছে ৬ হাজার ১৯১ ভোট।
বিজ্ঞাপন
এবার পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ জনের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ১১২ জন।
রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ফলাফল নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্। তিনি ও নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন সকল মেয়র ও সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের নাম ঘোষণা করেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শহরের স্থানীয় শহীদ টিটু মিলনায়তনে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
ওয়ার্ডে নির্বাচিতরা হলেন, ১নং ওয়ার্ডে শাহ মেহেদী হাসান হিমু (পাঞ্জাবি) ৩ হাজার ৮২৫ ভোট, ২নং ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম বিটু (ব্লাকবোর্ড) পেয়েছেন ২ হাজার ৩২৫ ভোট, ৩নং ওয়ার্ডে তরুণ কুমার কবিরাজ (টেবিল ল্যাম্প) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৩ ভোট, ৪নং ওয়ার্ডে আব্দুল মতিন সরকার (উট পাখি) পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪৮ ভোট, ৫নং ওয়ার্ডে রেজাউল করিম ডাবলু (উটপাখি) পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬১ ভোট, ৬নং ওয়ার্ডে পরিমল চন্দ্র দাস (উটপাখি) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৩০ ভোট, ৭নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু (উটপাখি) পেয়েছেন ১ হাজার ৮০৪ ভোট, ৮নং ওয়ার্ডে এরশাদুল বারী এরশাদ (টেবিল ল্যাম্প) পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৯ ভোট, ৯নং ওয়ার্ডে আলহাজ্ব শেখ (উটপাখি) পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৪ ভোট, ১০নং ওয়ার্ডে আরিফুর রহমান আরিফ (উটপাখি) ২ হাজার ৭৯৭ ভোট, ১১নং ওয়ার্ডে সিপার আল বখতিয়ার (পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৯ ভোট, ১২নং ওয়ার্ডে এনামুল হক সুমন (ব্লাকবোর্ড) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৪ ভোট, ১৩নং ওয়ার্ডে আল মামুন (ঢেড়স) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪০ ভোট, ১৪নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম রফিক (টিউব লাইট) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪১ ভোট, ১৫নং ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম (উটপাখি) পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪৭ ভোট, ১৬নং ওয়ার্ডে আল আমিন মেহেদী (উটপাখি) পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬০ ভোট, ১৭নং ওয়ার্ডে ইকবাল হোসেন রাজু (টেবিল ল্যাম্প) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৮ ভোট, ১৮নং ওয়ার্ডে রাজু হোসেন পাইকার (টেবিল ল্যাম্প) পেয়েছেন ২ হাজার ২২১ ভোট, ১৯নং ওয়ার্ডে লুৎফর রহমান (গাজর) পেয়েছেন ২ হাজার ৮৮২ ভোট, ২০নং ওয়ার্ডে রোস্তম আলী (উট পাখি) পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৭ ভোট, ২১নং ওয়ার্ডে রুহুল কুদ্দুস ডিলু (পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৮৪ ভোট।
অপরদিকে বগুড়া পৌরসভার ২১ ওয়ার্ডে ৭টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে নির্বাচিতরা হলেন, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ১ (১,২,৩) জোবাইদা বেগম (জবাফুল) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯ ভোট, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ২ (৪,৫,৬) ফারুক সখিনা শিখা (চশমা) ৩ হাজার ৯২৮ ভোট, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ৩ (৭,৮,৯) হোসনে আরা হাসি (আনারস) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৬৫ ভোট, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ৪ (১০,১১,১২) শাহিনুর (দ্বিতল বাস) পেয়েছেন ৪ হাজার ২৭৪ ভোট, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ৫ (১৩,১৪,১৫) শিরিন আক্তার (বলপেন) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৩৭ ভোট, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ৬ (১৬,১৭,১৮) মোছা. মুক্তি বেগম (অটোরিকশা) ৫ হাজার ৯৯৫ ভোট এবং মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং ৭ (১৯,২০,২১) মঞ্জুয়ারা বেগম (জবাফুল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮২৩ ভোট।
বগুড়া জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা যায়, ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া পৌরসভা প্রায় ৭০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮ লাখের বেশি। নতুন ভোটার নিয়ে চলতি বছরে এসে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ জন। এরমধ্যে বগুড়া পৌরসভায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০৬ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৪ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে পৌরসভার ১১৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ১৬ প্লাটুন বিজিবি, ২১ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২১টি মোবাইল টিম, ৫টি স্ট্র্রাইকিং ফোর্সসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যাক র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্য নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত ছিলেন।
একই সঙ্গে কাজ করেছে পুলিশ ও র্যাব থেকে বিশেষ ফোর্স। ১১৩টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন ২ হাজার ৬০৩ জন কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ করেছেন।
জনি/এমএএস