বাঁ পা দিয়ে লিখে দাখিল পরীক্ষা দেওয়া সেই রাসেল মৃধাকে দেখতে গেলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।এসময় তার শিক্ষাজীবন ও পারিবারিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ডিসি।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনি রাসেলকে দেখতে ছুটে যান।

এসময় সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএম সামিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. মোতাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‌‌দুই হাত এক পা নেই, বাঁ পায়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশ হলে নজরে আসে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের। এরপর তিনি নিজেই রাসেলের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান।

এ বিষয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাসেলের দাখিল পরীক্ষা শেষ হলে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে অন্যান্য যেসব প্রশিক্ষণ তার ব্যক্তি জীবনে কাজে লাগবে সেই সব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। পাশাপাশি তার পরিবারের নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হবে।  

তিনি আরও বলেন, রাসেল মৃধা প্রতিবন্ধকতা দূর করে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে। তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তারা রাসেলকে পড়াশোনা করাচ্ছে। তার অদম্য সাহসিকতা ও ইচ্ছাশক্তি একদিন সফলতা এনে দেবে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন সবসময় রাসেল মৃধার পাশে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, দুই হাত নেই। ডান পা-ও নেই। বাঁ পা আছে, তাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা ছোট। পায়ের আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা।

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিংড়ার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে অদম্য রাসেল।

প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী রাসেল মৃধা সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ছাত্র। সে বিগত দিনে পিএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায়ও সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।

তাপস কুমার/এমএএস