নিহত তাওসিফ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাওসিফ (১১) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা শীলা আক্তারকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ। 

গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিহত শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন রূপগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে স্ত্রী শীলা বেগম ও তার প্রেমিক জুলহাসকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এরপর থেকেই জুলহাস পলাতক রয়েছেন।

নিহত তাওসিফ উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শীলা ছেলে তাওসিফের মরদেহ নিয়ে জামাল উদ্দিনের কাছে এলে তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখতে পান। সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, তাওসিফ গলায় ফাঁস নিয়েছে।

শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে স্ত্রী শীলা তার ছোট বোনের স্বামী জুলহাসের সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে ছেলে তাওসিফকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে জুলহাসের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শিমুলিয়া এলাকার রেজাউলের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল শিলা। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তাওসিফের মরদেহ নিয়ে শিলা হাজির হয়। প্রথমে সে জানায় তাওসিফ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাওসিফের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে তাকে চাপ দিলে সে বলে, ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমার ধারণা শীলা ও তার পরকীয়া প্রেমিক জুলহাস তাওসিফকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।

তিনি বলেন, তাওসিফের মা শিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

আবির শিকদার/আরএআর