কবুতরের দেখভাল করছেন মিনহাজুল

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় শখের বসে স্থানীয় বাজার থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে দুই জোড়া কবুতর কেনে মিনহাজুল। দুই বছরে সেই কবুতর দাঁড়ায় ২০ জোড়ায়। এরপর বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনের কথা মাথায় আসে। যেই ভাবনা সেই কাজ। সংগ্রহ করেন কিছু বিদেশি জাতের কবুতর। এখন তার শখের কবুতর থেকে মাসে আয় ১০-১১ হাজার টাকা।

মিনহাজুল ইসলাম কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের সন্ন্যাসী গ্রামের মো. মোস্তফা আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় কাঁঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২০ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।

মিনহাজুলের পারিবারিক খামারে প্রতি জোড়া কবুতর বিক্রি হচ্ছে (জাতভেদে) ঘিয়াচুল্লি ১২শ টাকা, গিরিবাস ১ হাজার টাকা, চকলেটমুখী ২ হাজার টাকা, দেশি কবুতর ৪-৫শ টাকা ও কাগজি ৮-৯শ টাকা। 

মিনহাজুলের খামারের কবুতর

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিনহাজুলের খামারে এখন কবুতরের সংখ্যা শতাধিক। পঞ্চম শ্রেণি থেকে এইচএসসি পাস করা পর্যন্ত লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ কবুতর বিক্রির টাকা থেকে দিয়েছে। তাছাড়া কবুতর বিক্রি করে কৃষক বাবার সংসারে যোগান দিচ্ছেন। খামার থেকে প্রতি মাসে ব্যয় বাদ দিয়ে ১০-১১ হাজার টাকা আয় করছেন এ শিক্ষার্থী। 

স্থানীয় বাদশাহ মিয়া জানান, মিনহাজুল আমার ভাতিজা। পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে কবুতর পালন করে ভালোই লাভবান হচ্ছে। ওকে অনুকরণ করে এলাকায় অনেকেই খামার করছে। সরকারিভাবে তাকে যদি সহযোগিতা করা যায় তাহলে ছাত্রজীবনে আরও বড় পরিসরে খামারটি করতে পারত।

মিনহাজুল ইসলাম বলেন, শখের বসে ২০১১ সালে দুই জোড়া কবুতর বাজার থেকে নিয়ে আসি। পরে দুই বছরের মাথায় ২০ জোড়া কবুতর হয় আমার। তখন চিন্তা করলাম বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করা যায় কিনা। সেই ভাবনা থেকে কিছু বিদেশি কবুতর সংগ্রহ করি। কবুতর বিক্রির টাকা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ ও সংসারে ব্যয় করছি। এখন আমি প্রতি মাসে খরচ বাদ দিয়ে ১০-১১ হাজার টাকা আয় করছি। আমার দেখাদেখি আরও অনেকে বাড়িতে কবুতর পালন করছেন।

কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিনহাজুল পড়ালেখার পাশাপাশি পারিবারিক খামার করে বাড়তি আয় করছে। এটা খুবই ভালো। তাকে দেখে অন্যান্যরাও উৎসাহিত হবে।

এসপি