ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে এলাকাবাসী

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকারের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। একই সঙ্গে আগামী রোববারের (৭ মার্চ) মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরদিন সোমবার (৮ মার্চ) অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 

সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনের সড়কে বসে আধা ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, দিনের আলোয় লাল মিয়াকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। লাল মিয়ার খুনিদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী রোববারের (৭ মার্চ) মধ্যে এই হত্যা মামলার চিহ্নিত মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরদিন সোমবার (৮ মার্চ) অর্ধদিবস হরতাল পালন করবে ফুলছড়িবাসী। সেদিন চলবে না কলকারখানা, চলবে না গাড়ির চাকা।

এ সময় নিহত লাল মিয়ার বেয়াই ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরে আনার হুমকি দেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন ইউসুফ, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ ও নিহতের ছেলে মুরশিদ আলী প্রমুখ।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে উড়িয়ার সাদেকখাঁ বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেন ও তার লোকজন লাল মিয়ার ওপর হামলা চালান। তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকেলে মারা যান লাল মিয়া। 

এ ঘটনায় পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি ফুলছড়ি উপজেলা সদরে নিহত লাল মিয়ার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। ওইদিন নিহতের ছেলে মুরশিদ আলী সন্ধ্যায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু মামলা হওয়ার তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রিপন আকন্দ/আরএআর