আ.লীগ কার্যালয়ে তালা দিয়ে আসবাব নিয়ে গেলেন কাদের মির্জা
মেয়র কাদের মির্জা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছেড়েছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। কার্যালয়ে থাকা তার ব্যক্তিগত কাগজপত্রসহ আসবাব সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ছাড়াও তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে তিনি পাশের একটি ভবনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
অপরাজনীতির সঙ্গে আমি নেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় কোথায় হবে, তা একমাত্র ওবায়দুল কাদের জানেন।
মেয়র কাদের মির্জা
বিজ্ঞাপন
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের প্রস্তাবনা তৈরির বিষয়ে কার্যকরী কমিটির সভা ডাকা হয়েছিল। এই সভা যেন হতে না পারে, সে জন্য কাদের মির্জা তার অনুসারীদের দিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে আসবাবসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (সোমবার) সকালে ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ার, টেবিলসহ সব জিনিসপত্র বের করে নেন। এ সময় আবদুল কাদের মির্জা উপস্থিত ছিলেন।
কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ওই কার্যালয়টি ঘরের মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আজ (সোমবার) থেকে আমি বসুরহাট রূপালী চত্বরে আলেয়া টাওয়ারে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসব। তাই আমার কেনা মালপত্র নিয়ে এসেছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এই মালপত্র পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্স থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নামে কেনা হয়েছে। তিনি (কাদের মির্জা) আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের আসবাব ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিতে পারেন না।
এনএ