বাবা-মায়ের সঙ্গে ইয়াসিন

এক চোখে আলো নেই সাড়ে চার বছর বয়সী শিশু ইয়াসিন মিয়া। এক বছর আগে শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে কঞ্চির আঘাতে তার বাম চোখের কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দিনদিন চোখের মাংসপিণ্ড বাইরে চলে আসছে ইয়াসিনের। ডাক্তার জানিয়েছে কর্ণিয়া সংযোজন না করা হলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ডান চোখটিও। 

এ নিয়ে চরম শঙ্কায় দিন কাটছে ইয়াসিনের হতদরিদ্র পরিবারের। তার বাবা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মো. আবুল বাশার পেশায় দিনমজুর। 

তিনি দৈনিক যা আয় করেন তা দিয়েই চলে দুই ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার। কিন্তু এখন ছেলের এমন অবস্থায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ছুটতে গিয়ে কাজেও যেতে পারছেন না আবুল বাশার।

তিনি জানান, গত ঈদুল ফিতরের দিন বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল ইয়াসিন। হঠাৎ করে বাম চোখে কঞ্চির আঘাত লাগে। ওইদিনই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গৌরীপুরের ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে দীর্ঘদিন চলে তার চিকিৎসা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।  

এরপরে রেফার্ড করা হয় ঢাকায় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে। এরপর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চলে তার চিকিৎসা। 

আবুল বাশার বলেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডা. নুসরাত শারমীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে ইয়াসিনের। চিকিৎসকরা বলেছেন, কর্ণিয়া সংযোজন ছাড়া ইয়াসিনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু কর্ণিয়া জোগাড় ও প্রতিস্থাপন করার কোনো টাকা নেই আমার। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে অনেকবার সহযোগিতা নিয়েছি। এখন চাইতে লজ্জা লাগে। 

নিজের চোখের সামনে তিলেতিলে নষ্ট হচ্ছে সন্তানের চোখ। অসহায় বাবার চোখে শুধুই ভেসে উঠছে অসহায়ত্ব। সন্তানের চোখে চোখ রাখতে পারছেন না তিনি। তাকিয়ে আছেন বিত্তবানদের দিকে। সবার সহযোগিতায় ছোট্ট ইয়াসিন আবারও ফিরে পেতে পারে চোখের আলো।

ইয়াসিনের চোখে আলো দিতে নগদ বা বিকাশ মাধ্যমে সহযোগিতা করা যাবে ০১৭৬৬-৭৩৫৮০৮ নম্বরে। এছাড়া তার বাবা আবুল বাশারের সঙ্গে কথা বলা যাবে ০১৯৪৭-৮১৫২১৭ নম্বরে।

উবায়দুল হক/এমএএস