যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণ মামলার আসামি মিজানুর রহমান (৫৫) কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করেন তিনি।

স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহে তার মৃত্যু হয়।

তিনি চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাদেখানপুর গ্রামের বাসিন্দা। আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় নারায়ণপুর ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন ও ইউসুফ আলী।

এ প্রসঙ্গে চৌগাছা থানা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, মিজানুর রহমান ধর্ষণ মামলার আসামি। কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন শুনেছি। ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। অফিসিয়ালি এখনো সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পাইনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা থানায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন প্রতিবেশী এক নারী।

মামলার এজাহারে ওই নারী দাবি করেন, আগের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি মোবাইলে সমিতির কিস্তি দেয়ার জন্য ১ হাজার টাকা ধার চাইলে কিছুক্ষণ পরে দেবে বলে মিজানুর রহমান জানান। সকাল সোয়া ১০টায় মিজানুর রহমান টাকা নেয়ার জন্য ওই নারীকে কল করে তার বাড়িতে ডেকে নেন। ওই নারী তার বাড়িতে গেলে ঘরে ডেকে আরও বেশি টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। এতে ওই নারী রাজি না হলে জাপটে ধরে ধর্ষণ করেন মিজানুর। 

এসময় তার ডাক-চিৎকারে মিজানুরের স্ত্রী মনিবালা বেগম (৪৫) ও মিজানুরের ভাইয়ের ছেলে তারিফ (২০) এসে দরজা খুলে ঘটনা দেখে ফেলে এবং তারা তাকে মারধর করে চুরির অপবাদ দেয়।

ওই নারী এজাহারে আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি লোকলজ্জার ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কাউকে জানাননি। পরে বিষয়টি তার স্বামী ও মাকে জানান। ঘটনাটি জানার পর তার স্বামী তাকে আর বাড়িতে উঠতে দেননি। পরে তিনি বাবার বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নিয়ে মাকে সঙ্গে করে চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রয়োজনে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। 

জাহিদ হাসান/এমএএস