নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে সদস্য প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। হামলায় প্রাইভেটকারের চালক জামাল হোসেন (৪২) আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী (কালিয়া উপজেলা) খান শাহিন সাজ্জাদ পলাশ নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালান। রাত সাড়ে ১০টার দিক প্রচারণা শেষে কালিয়া পৌর ভবন চত্বরে পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হিরা, উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ ঘোষ, সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, খান শাহিন সাজ্জাদ পলাশসহ তার অনুসারীরা বসেছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ২০ থেকে ৩০ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় সদস্য প্রার্থী পলাশের গাড়িচালক আহত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য বিশ্বাস কবিরুল হক মুক্তি আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী রবিউল ইসলাম খানকে সমর্থন করছেন। অপরদিকে সংসদ সদস্যের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ ঘোষ, কালিয়া পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা ও সালামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, সদস্য প্রার্থী খান শাহীন সাজ্জাদ পলাশকে সমর্থন করছেন। এমপির আস্থা ভাজন লোকের বিপক্ষে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নড়াইল ১ আসনের সংসদ সদস্য বিশ্বাস কবিরুল হক মুক্তির নেতৃত্বে তার সমর্থিত লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে  আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সজিব রহমান/এসকেডি