জামিনে বের হয়েই আদালত প্রাঙ্গণে মামলার বাদীকে মারধর
বরগুনার আমতলীতে জামিনে বের হয়েই আদালত প্রাঙ্গণে মামলার বাদীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আসামির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আসামির নাম মতিউর রহমান খান। রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আমতলী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের রুবেল হাওলাদার জাল জালিয়াতির অভিযোগ এনে ২০২১ সালে হারুন অর রশিদ মুন্সিকে প্রধান আসামি করে মতিয়ার রহমান খাঁনসহ ৮ জনে নামে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ৭ আগস্ট সিআইডি জাল জালিয়াতির সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতের বিচারক প্রতিবেদন গ্রহণ করে গত মঙ্গলবার আসামিগণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর ওই মামলায় আসামিগণ আজ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান সকল আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনে বের হয়েই আদালত প্রাঙ্গণে আসামি মতিয়ার রহমানের দুই ছেলে মো. মিরাজ, মো. শিরাজ খাঁন ও তার সহযোগীরা মামলার বাদী রুবেল হাওলাদার ও তার সহযোগী নজরুল বিশ্বাসকে মারধর করেন। এমনকী মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী রুবেল হাওলাদার বলেন, আসামি মতিয়ার রহমান খাঁন জামিনে বের হয়েই তার দুই ছেলে মিরাজ, শিরাজ ও তার সহযোগীরা আমাকে এবং আমার সহযোগী নজরুল বিশ্বাসকে মারধর করেছে। মারধর করেই খ্যান্ত হয়নি তারা, মামলা তুলে না নিলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান খান বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমি সবাইকে থামিয়ে লোকজন নিয়ে চলে আসি। এছাড়া আর কিছু আমার জানা নাই।
এ বিষয়ে আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খান নাঈম/এমএএস