দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়। এ জেলায় ধান, গম, ভুট্টা, বাদাম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়ে থাকে। তবে কয়েক বছর ধরে জেলার পাঁচটি উপজেলায় সমতল ভূমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে আলুর চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে।

গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় জেলায় আলুর আবাদ বাম্পার হয়েছে। শীত আর কুয়াশার আতঙ্ক কেটে কৃষকরা এখন আলুর খেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে মোট ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে দেশি ও উন্নত জাতের আলুর চাষ হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে ২ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলু চাষে খরচ ও উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

আলুখেত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা

জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে দেখা গেছে এমন চিত্র। কৃষকরা কেউ আলুর খেত পরিচর্যা করছেন। অনেকে আলু তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এখন বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভের স্বপ্ন দেখছেন। আলুর ফলনও ভালো হয়েছে। দাম যদি ভালো পান এবং সরকারিভাবে যদি তাদের সহযোগিতা করা হয়, তাহলে তারা আলু চাষকে আরও এগিয়ে নিতে পারবেন এবং নিজেরাও লাভবান হবেন বলে জানান তারা।

খেতের আলু দেখাচ্ছেন কৃষক

এদিকে আলুর বীজ সংগ্রহ করছেন অনেক কৃষক। বিএডিসি কর্তৃক স্টিক ও ডায়মন্ড জাতসহ বিভিন্ন জাতের আলুর বীজ সংগ্রহ করে কৃষকরা আলুর চাষ করছেন। তবে কৃষকরা বলছেন, দাম প্রথম দিকে ভালো থাকলেও এখন কিছু হ্রাস পাওয়ায় দাম নিয়ে আতঙ্কে আছেন তারা। তবে ন্যায্য দামের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের মাটি হলো বেলে-দোআঁশ। এ অঞ্চলের মাটি অনেক উর্বর। ধান, গম, বাদাম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসলের পাশাপাশি  আলুর চাষ হয়ে থাকে। চলতি বছরে জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন জাতের ব্যাপক আলুর চাষ হয়েছে। কৃষকরা চালু চাষে লাভ পাওয়ায় আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছি। 

মো. রনি মিয়াজী/এনএ