কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে পালিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছিল। ভোট কক্ষের ভেতরে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। আর কেন্দ্রের ভেতরে প্রচারণা চালিয়েছেন একদল কর্মী। তারা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। বুকে ঝুলছিল নির্দিষ্ট একটি প্রতীক সংবলিত প্রচার কার্ড। যখন মন চেয়েছে যেকোনো কক্ষের সামনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। কথা বলছেন ভোটারদের সঙ্গে। আবার কেউ কেউ টেনে নিয়ে কক্ষের ভেতরে ভোটারদের ঢুকিয়েছেন।
জানতে চাইলে আব্দুল মুকিত নামে একজন নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করে বলেন, অবশ্যই প্রতীক নিয়ে আসতে পারি। আমি নৌকার প্রতীকের পক্ষে। আমি উনার সমর্থক, উনার পক্ষে এসেছি। আমি উনাকে ভালোবাসি। তাই আমি বিশ্বাস করি উনি জয়লাভ করবেন। এজন্য আমি প্রতীক নিয়েই এসেছি।
বিজ্ঞাপন
২০-২২ বছর বয়সী আরেক কর্মীকে কার্ড নিয়ে ভেতরে কীভাবে ঢুকেছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছেন তিনি। কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি কে দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি পালিয়ে যান।
এভাবেই নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রতীক সংবলিত কার্ড বুকে ঝুলিয়ে ৩৪ নম্বর ইকড়ছই মাদরাসা কেন্দ্রের ভেতরেই প্রভাব খাটিয়েছেন নৌকা সমর্থিত কর্মীরা। অথচ আইনে বলা আছে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কেউ প্রতীক নিয়ে কেন্দ্রে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করা হলেও তা যেন কারো চোখেই পড়েনি।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইকরছই মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতীক নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের চোখে এরকম কেউ পড়েনি। কেউ অভিযোগও করেনি। আইনশৃঙ্খলা ঠিক ছিল।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকমল হোসেন (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক মুক্তাদীর আহমেদ মুক্তা (আনারস), জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (খেজুর গাছ) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্বাস চৌধুরী লিটন (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
সোহানুর রহমান সোহান/এমজেইউ