কিশোরগঞ্জ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরে স্টেশনরোড এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মিছিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনিক কুমার সাহা। এ ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়ছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নুর গাড়ি চালক সাইফুল ইসলামকে। এছাড়াও মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউজ্জামান নৌশাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল সাংগঠনিক সম্পাদক মো.ইসরাঈল মিয়াসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তা আটকে মিছিল করছিল। তাদের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে কার্যালয়ের ভিতর থেকেও চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে তিনিসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে শটগানের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আবু নাসের সুমন ও সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এসকে রাসেল/আরকে