বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খাঁন বলেন, আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে যখন এই টেন মিটিংয়ের (বিভাগীয় সমাবেশ) পরিকল্পনা করি তখন আমরা নিজেরাই বুঝতে পারিনি মিটিংগুলোর কী ইফেক্ট হতে পারে। মিটিংগুলো কীভাবে রুপান্তরিত হতে পারে। গণসমাবেস মহাসমাবেশে পরিণত হচ্ছে। এর একটা ইম্পেক্ট সরকারের ওপর পড়ছে। যতদিন যাচ্ছে মিটিংগুলো হচ্ছে। আমরা সফল হচ্ছি, আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকার মুখে যাই বলুক, তাদের আচার আচরণে এবং কথাবার্তায় বোঝা যায় তারা অল্প, সামান্যতম হলেও নার্ভাস কিন্তু হয়ে গেছে। প্রকাশ করুক বা না করুক। 

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সভাপতিত্বে সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

১৯৯৬ সালের নির্বাচন নিয়ে মঈন বলেন, ৩ মাসও যায়নি, খালেদা জিয়া উপলব্ধি করলেন মানুষ নির্বাচনটি ঠিকভাবে গ্রহণ করেনি। সংবিধানের বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের নির্বাচন করতে হয়েছিল। তিন মাসের মাথায় রাজপথে মিটিং ডাকলেন, জনসম্মুখে ঘোষণা দিলেন আমি পদত্যাগ করছি। উনি তখন বলতে পারতেন আমি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি ৫ বছর থাকবো। কিন্তু সেটা তিনি করেননি কারণ তিনি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন নিজের জন্য না। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের শক্তি হচ্ছে সততার শক্তি, আমাদের শক্তি ন্যায়ের শক্তি। আমরা ন্যায়ের পথে আছি। আমরা গণতন্ত্র গড়ার জন্য আন্দোলন করছি, বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র দূর করার জন্য নয়। আমরা এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করি না, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি। 

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 

সোহানুর রহমান সোহান/এমএএস