দক্ষিণের ৫ জেলার ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ, লঞ্চে বাড়তি চাপ
ফরিদপুরে বাস মালিক সমিতির ডাকা ৩৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বরিশালের পাঁচ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর রুটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের বাড়তি চাপ বেড়েছে বরিশাল নদী বন্দরে।
জানা গেছে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির সমাবশেকে ঘিরে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক পক্ষ। যে কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ঢাকার যাত্রী আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি সপরিবারে ঢাকা যাওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় বিকল্প পন্থা খুঁজছেন।
আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে তাতে জনভোগান্তির শেষ নেই। বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালেও সাধারণের কথা কেউ ভাবছেন না। চেষ্টা করছি লঞ্চে ঢাকায় ফিরতে। কিন্তু লঞ্চে কেবিন, সোফা কিছুর ব্যবস্থা করতে পারছি না।
বিজ্ঞাপন
আরেক যাত্রী সাইদুল সিকদার বলেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বিদায় নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে জানতে পারি বাস চলবে না। তাই ফিরে যাচ্ছি। জরুরি কাজের জন্য আমার ঢাকা যাওয়া দরকার।
অপরদিকে বরিশাল নদী বন্দরে শুক্রবার বন্ধের দিনও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে। ঘাটে সুন্দরবন-১৮, পারাবত-১৮, শাহরুখ-২ এই তিনটি লঞ্চ থাকলেও যাত্রী চাপ বাড়ায় আরও একটি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেবিন না পাওয়ায় অকেকেই চাদর বিছিয়ে ডেকে স্থান নিয়েছেন।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাশরেক বাবলু বলেন, ফরিদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা শুক্রবার ও শনিবার ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা রুটের বাসকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় অতিক্রম করতে হয়। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ওই জেলার সড়কপথে বাস চলাচল করতে দিচ্ছেন না ফরিদপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর