মেহেদির রং না শুকাতেই কিশোরী বধূ লাশ
হাতের মেহেদির কাঁচা রং না শুকাতেই লাশ হয়েছেন কিশোরী বধূ মিতু খাতুন (১৭)। বিয়ের চার মাস না পেরোতেই শনিবার (৬ মার্চ) সকালে স্বামীর শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি বগুড়া শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ফুলজোড় গ্রামে।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিন দুপুরে ঘটনাটির খবর পেয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুন সার্কেল) গাজী রহমান, শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলজোড় গ্রামের জুবায়ের মনের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার মিজানুর রহমানের মেয়ে মিতু খাতুনের পরিচয় ঘটে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে চার মাস আগে উভয় পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা।
পরে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মিতুর পরিবার মেনে নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ ও পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুরে খাবার খেয়ে গৃহবধূ মিতু শয়নকক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। চার থেকে পাঁচ় ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ঘুম থেকে জেগে না ওঠায় স্বামী পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গৃহবধূ মিতুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে খানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
বিকেলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, শয়নকক্ষের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার গেলেই কেবল মৃত্যুর কারণ সঠিক করে বলা সন্তব হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এনএ