বিএনপির সমাবেশে লাখ লাখ জনতা দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। 

তিনি বলেন, সরকার এতটাই দেওলিয়া হয়েছে যে বিএনপির সমাবেশ বানচাল করতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাদের দিয়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। মালিক-শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন- গাড়ি বন্ধ রাখলে তাদের লোকসান হয়। সরকার যতই যড়যন্ত্র করুক না কেন সিলেটে গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না। বিএনপির সমাবেশে লাখ লাখ জনতা দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। সমাবেশ বানচাল করতে সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার তাই করছে। এসব করে সরকারের লাভ হবে না। ইনশাআল্লাহ বিএনপির বিজয় খুব সন্নিকটে। 

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে পাবনার রত্মদ্বীপ রিসোর্টের কনফারেন্স রুমে বিএনপির মিডিয়া সেলের আয়োজিত সুধী সমাজের সঙ্গে ‘জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বিএনপির একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। যে সকল ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারের সঙ্গে যুক্ত হবেন,  তাদের প্রার্থী যদি এমপি হিসেবে নির্বাচিত নাও হন, তবুও তাদের মেধা, প্রজ্ঞা ও গঠনমূলক মতামত জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে পারবেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপির হাত দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে, চারটির পরিবর্তে অসংখ্য গণমাধ্যম তৈরি হয়েছে ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এসেছে। বিএনপি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছে এক কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট থাকলে সেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলটি স্বৈরাতান্ত্রিক ভূমিকায় অবস্থান করে। সংসদে দুটি কক্ষ থাকলে সেখানে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সরকার হলে যে কোনো নীতি ও আইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেক সময় পাওয়া যায়। ফলে গঠনমূলক পর্যালোচনা করা সম্ভব হয়। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। 

এতে আরও বক্তব্য দেন পাবনা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল করিম, পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা আজিজুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মির্জা আজাদ, জাসদ (রব) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন কবির ও ড্যাবের পাবনা জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান প্রমুখ। 

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ড. মোর্শেদ হাসান খান ও আতিকুর রহমান রুমন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আঁখিনুর ইসলাম রেমন, দৈনিক সিনসার সম্পাদক এসএম মাহবুব আলম, ডেইলি মর্নিং টাচের সম্পাদক এমজি বিপ্লব চৌধুরী, সূচনা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পূর্ণিমা ইসলাম, পাবনা জেলা গণপরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার খান জুয়েল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক অডিটর আ্যাডভোকেট আজিজা তামান্না স্বর্ণা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর