জয়পুরহাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহী নেপাল দাসকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া বিজিবির সিপাহী হযরত জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র্যাব)। 

গ্রেপ্তারের পর তাকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, হযরত জাকারিয়া দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শনিবার রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি আইনে যা আছে তার ওপর ট্রায়াল হবে।

নেপাল দাস নিহতের ঘটনায় জয়পুরহাট থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তার শেষ কৃত্য নিজ গ্রামের বাড়িতে করা হয়েছে। নেপাল দাসের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় সিপাহী হযরত জাকারিয়া পলাতক ছিলেন। হযরত লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেপাল দাসকে (৩১) জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে বিজিবির পোশাক পরা ও বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার দুপুরে বিজিবি-২০ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম মরদেহটি নেপালের বড় ভাই গোপাল দাসের কাছে হস্তান্তর করেন।

নেপাল দাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেঘচামী ইউনিয়নের কলাগাছি দাসপাড়া গ্রামে। নেপাল ওই গ্রামের নারায়ণ দাসের ও কানন বালা দাস দম্পতির ছেলে। এক বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে নেপাল ছিলেন মেজ। বোন হাসি রাণী দাস বিবাহিত। বড় ভাই গোপাল দাস ব্র্যাক ব্যাংকে ও ছোট ভাই বাদল দাস সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তার স্ত্রী অঞ্জনা দাস ও চার বছরের অর্ণব দাস নামের ছেলে রয়েছে।

চম্পক কুমার/এমএএস