যশোর-খুলনা মহাসড়কের দুরাবস্থা চোখে পড়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। তিনি খানাখন্দে ভরা সড়কটি ঠিক করতে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারদের বলছি- যশোর-খুলনার রাস্তা ঠিক না হলে খবর আছে। এক মাসের সময় দিলাম, ঠিক না হলে খবর আছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু, মধুমতি সেতু করেছেন। এখন ঢাকা থেকে যশোর আসতে লাগে আড়াই ঘণ্টা, আগে লাগতো আট থেকে ১০ ঘণ্টা। যশোরের মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে এক মহাসমুদ্র, বাইরে আরেক মহাসমুদ্র।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক। পলাশীর সেনাপতি ইয়ার লতিফ, আর পঁচাত্তরের ইয়ার লতিফ হচ্ছে জিয়া।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বাড়ির বাইরে লেখা থাকতো কুকুর থেকে সাবধান, আর আমি বলছি বিএনপি থেকে সাবধান। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। বিএনপি খুলনার মঞ্জুরুল ইমাম, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুকে হত্যা করেছে। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা ছাড় দিয়েছেন, কিন্তু আগুন নিয়ে এলে খেলা হলে আমরা ছাড় দেব না। যশোরের মানুষ, খুলনার মানুষ প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়নের জন্য আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান,  ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ প্রমুখ।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর